ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপর তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। রিটার্নিং অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেননা প্রার্থীরা।
এসব বিষয়ে প্রশাসনের ভ‚মিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন বিজ্ঞ মহল। এদিকে পুলিশ ঘটনার পর কোন কোন এলাকায় উপস্থিত হলেও অজ্ঞাত কারণে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।
গতকাল বিকালে হৈবতপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হরেন কুমার বিশ্বাসের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রচারণাকালে প্রচার মাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। নৌকার সমর্থকরা প্রকাশ্যে তার মাইক ভাংচুরসহ কয়েকটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
হরেন কুমার বিশ্বাসের অভিযোগ, বিকেল পৌনে তিনটার দিকে পিকআপ গাড়িতে মাইক বেধে নির্বাচনী প্রচারে বের হন তার কর্মীরা।
এসময় নৌকা মার্কার কর্মী আমজেল, মিন্টু জহির, রহিম, সহিদ, মোশারফ, আলমগীর, সরোয়ার, তাহেরসহ নাম না জানা আরো অনেকে তাদেরকে প্রচার করতে বাধা দেয় এবং মাইক ভাংচুর করে নিয়ে চলে যায়। এসময় পাশে থেকে ঘটনার ভিডিও করায় কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি প্রার্থী হরেন কুমার বিশ্বাস জানার পর পুলিশকে অবহিত করলে কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অজ্ঞাত কারণে কোন পদক্ষেপ না নিয়েই ফিরে আসে। এবিষয়ে তিনিসিংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে কোন সুফল পাচ্ছেন না। এদিকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ঘরবন্দী হরেন কুমার বিশ্বাসের কর্মীরাও শান্তিতে থাকতে পারছেননা বলে জানা গেছে। সোমবার রাতেও আনোয়ার হোসেন ও জাহাঙ্গীর ওরফে অখিল উদ্দিন নামে ২ সমর্থককে তুলে এনে নাশকতা মামলায় চালান দিয়েছে পুলিশ। ফলে পুলিশের এই রহস্যজনক আচরণে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মুঠোফোনে হরেন বিশ^াসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে পিকআপ গাড়িতে মাইক বেধে নির্বাচনী প্রচারে বের হন তার কর্মীরা। এসময় নৌকা মার্কার কর্মী আমজেল, মিন্টু জহির, রহিম, সহিদ, মোশারফ, আলমগীর, সরোয়ার, তাহেরসহ নাম না জানা আরো অনেকে তাদেরকে প্রচার করতে বাধা দেয় এবং মাইক ভাংচুর করে নিয়ে চলে যায়। এসময় পাশে থেকে ঘটনার ভিডিও করায় কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি প্রার্থী হরেন কুমার বিশ্বাস জানার পর পুলিশকে অবহিত করলে কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অজ্ঞাত কারণে কোন পদক্ষেপ না নিয়েই ফিরে আসে। এবিষয়ে তিনিসিংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে কোন সুফল পাচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করেন আমাকে ইতোমধ্যে মধ্যরাতে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে একদল চেনা-অচেনা গুন্ডা তার রহমতপুরের বাড়িতে লাঠিসোটা নিয়ে হামলাও করেছে। তিনি ঘরবন্দি জীবন যাপন করছেন। তার কর্মী-সমর্থকরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
তিনি জীবন শঙ্কায় ভুগছেন। এছাড়া পুলিশ দিয়েও তার কর্মী সমর্থকদের হয়রানী করা হচ্ছে। তিনি বলেন সোমবার রাতেও আনোয়ার হোসেন ও জাহাঙ্গীর ওরফে অখিল উদ্দিন নামে ২ সমর্থককে তুলে এনে নাশকতা মামলায় চালান দিয়েছে পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে তিনি গোটা ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের ব্যবস্থা, প্রার্থী ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ চিহিৃত সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করলে তিনিই বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হবেন।
এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ইতিমধ্যে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থান নিয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রার্থীর ভাড়া খাটছে। যেকারণে প্রতিপক্ষ প্রার্থী, কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বাইরে অধিকাংশ ইউনিয়নে দলটির একাধিক বিদ্রোহী থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বেশকিছু ইউনিয়নে খুন-খারাপির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
খুন গুম হত্যাসহ যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে এখনি ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযান জরুরী হয়ে পড়েছে। বেশকিছু প্রার্থী ও তাদের সক্রিয় কর্মীদের অনেকে একদম গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ও দায়িত্বশীল সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এব্যাপারে জেলা বিশেষ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। একইভাবে কোতয়ালীর পুলিশ এসআই সালাউদ্দিনও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।